,

প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’

This handout satellite image released by the National Oceanic and Atmospheric Administration (NOAA) and captured by the Japan Meteorological Agency's Himawari-8 satellite on April 30, 2019, shows Tropical Cyclone Fani intensifying in the Bay of Bengal. - India deployed emergency personnel May 1, 2019, and ordered the navy on standby as it braced for an extremely severe cyclonic storm barrelling towards the eastern coast. Tropical Cyclone Fani, located in the Bay of Bengal and packing wind speeds up to 205 kilometres (127 miles) per hour, is expected to make landfall at Odisha state Friday. (Photo by HO / NOAA / AFP) / RESTRICTED TO EDITORIAL USE - MANDATORY CREDIT "AFP PHOTO / NOAA" - NO MARKETING NO ADVERTISING CAMPAIGNS - DISTRIBUTED AS A SERVICE TO CLIENTS ---

বিডিনিউজ ১০ ডেস্ক:  মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, শুরুতে এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

রোববার (৩ মে) ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এর প্রভাবে চট্টগ্রামে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। ঘন্টাব্যাপী ভারি বর্ষণের পর নগরের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ জানিয়েছেন, এ বৃষ্টি আরও ২দিন অব্যাহত থাকতে পারে। একটানা  বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকলেও এ মৌসুমে তার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

এদিকে ধেয়ে আসা বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়টির উৎপত্তিস্থল ও গতিপথ নিয়ে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে এটি যে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানবে-তা নিয়ে সকলেই একমত প্রকাশ করেছেন। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আগামী ৫ মে এর পর তার গতিপথ কোনদিকে পরিবর্তন করে সেদিকেই চেয়ে আছেন আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের বেশ কিছু এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। সেটি দেশের উপকূলীয় পটুয়াখালি, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষীপুর ও ফেনীতে  ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার শক্তি নিয়ে আঘাত করতে পারে। যদিও ঘূর্ণিঝড়টি সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-৩ মাত্রার হবে এবং ক্যাটাগরি-২ মাত্রার শক্তি নিয়ে সুন্দরবনে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে শক্তি সঞ্চয় করতে পারে এবং যতই উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হবে ততই শক্তি অর্জন করতে থাকবে। এটি উড়িষ্যা উপকূলের কাছাকাছি সর্বোচ্চ শক্তি অর্জন করতে পারে-এমন পর্যবেক্ষণও রয়েছে।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়ের ‘আম্ফান’ নামকরণ করেছে থাইল্যান্ড। ‘আম্ফান’ ২০১৯ সালের ঘূর্ণিঝড় তালিকার শেষ নাম।

এই বিভাগের আরও খবর