,

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধিকুমিল্লার লাকসামে আল-আমিন ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

পাশাপাশি স্কুল পরিচালনা কমিটিতে থাকা জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধেও সরকার বিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডসহ নানা অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক।

১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লার লাকসামের আল-আমিন ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক ও জামায়াত নেতা আবুল বাশার। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেও ২০১২ সাল থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোনও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠে।

সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দেয়া নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে শিক্ষা বোর্ড। গত ৮ বছরে স্কুলের প্রায় ৯ কোটি টাকা আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলে দেড় কোটি টাকা খরচের প্রমাণ দেখাতে পারেননি আবুল বাশার।

অভিযোগকারী আবদুল আলিম দিদার জানান, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আয়ের টাকা রাজনৈতিক, সহিংসতা ও নাশকতার কাজে ব্যয় করা হয়েছে। সরকারের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক এবং অর্থ আত্মসাতের একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

হিসাব পর্যালোচনা করে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। এছাড়া, বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী পরিকল্পনার অভিযোগেরও প্রমাণ মেলে। তদন্ত কর্মকর্তা এ কে এম সাইফুল আলম জানান, তদন্ত করে বড় ধরনের আর্থিক অসঙ্গতির প্রমাণ মিলেছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আল-আমিন ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার।

অনিয়ম ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীদের।

এই বিভাগের আরও খবর