,

পাহাড়ে শীতের সঙ্গে বাড়ছে পর্যটক

বিডিনিউজ ১০ ভ্রমণ:  বান্দরবানের শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটক বাড়তে শুরু করেছে। শীতের পরশে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে জেলার পর্যটন শিল্প। শীতের শিশির ভেজা সকালের পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণপিয়াসু মানুষের আনাগোনা বাড়ার কারণে বদলাতে শুরু করেছে এই জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর দৃশ্যপট।

শুক্রবার-শনিবার ছাড়াও খ্রিস্টিয় সম্প্রদায়ের উৎসব বড়দিন বা ক্রিসমাস উপলক্ষে বান্দরবানের অন্যতম দর্শনীয় স্থান পাহাড়ের চূড়ায় গড়ে তোলা নীলাচল, মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স, চিম্বুক, নীলগিরি, স্বর্ণ মন্দিরসহ টুরিস্ট স্পটগুলোতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়েছে। এক দিক দিয়ে এই শীতের মৌসুম হলো পাহাড়ের দুর্গম অঞ্চলের দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

প্রাকৃতিক নির্মল ছোঁয়া পেতে পার্বত্য জনপদের পাহাড়ের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভ্রমণপিয়াসু পর্যটকরা। প্রচণ্ড এই শীতে কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকা বান্দরবান পার্বত্য জেলার পাহাড়গুলো দূর থেকে দেখে মনে হয় প্রকৃতি যেন সবটুকু উজাড় করে দিয়ে পেখম মেলে বসে আছে এই এলাকার পর্যটন শিল্পের সৌন্দর্য বিকাশে। যান্ত্রিক জীবনের নানা কর্মব্যস্ততার জীবনের ছক থেকে বেরিয়ে এসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবানে ঘুরে বেড়াচ্ছে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকরা।

এ দিকে বান্দরবান জেলার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে পার্বত্য এই অঞ্চলের সহজ-সরল পাহাড়ি-বাঙালি মানুষগুলোর রুটি-রুজিও। পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে আবাসিক হোটেল-রেস্টুরেন্ট, হস্তশিল্পের কারুকাজ, চিম্বুক পাহাড়ের বম সম্প্রদায়ের তৈরি তাঁতের কাপড়সহ ঐতিহ্যবাহী ব্যবসাগুলোর বেচা-বিক্রিও জমে উঠেছে। আর পর্যটকবাহী গাড়িসহ পরিবহন ব্যবসা অনেকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক নিয়ন খান ও রিফাত হাসান বলেন, আমাদের প্রতি বছরই বান্দরবান বেড়াতে আসা হয়। পাহাড় দেখলে আমাদের মনটাও পাহাড়ের মতো বিশাল হয়ে যায়। তবে বান্দরবান থেকে নীলগিরি যাওয়া-আসার ভাড়া হচ্ছে ৪২ টাকা। কিন্তু কাউন্টারে গিয়েও নীলগিরি টুরিস্ট গাড়ি মিলছে না।

কারণ চালকদের চাহিদামতো অতিরিক্ত দুই আড়াই হাজার টাকা দিলেই গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই শুধুমাত্র নীলগিরি হলে যাবে না। সব পর্যটন স্পট ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতে পারলে তারা ভাড়ায় যাচ্ছে।

টুরিস্ট গাড়িগুলো ভোগান্তি এবং পর্যটক হয়রানি যেন দিন দিন আরও বাড়ছে। পর্যটকদের জিম্মি করে কয়েকগুণ বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিচ্ছে চালকরা। পর্যটক হয়রানি এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন বান্দরবান জেলায় ঘুরতে আসা পর্যটকেরা।

কুমিল্লা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক জোসনা আক্তার ও ইলিয়াস বলেন, নিরাপত্তার অজুহাতে পর্যটক হয়রানি বাড়ছে বান্দরবানে। নীলাচলে টুরিস্ট স্পটে যেতে একবার রাস্তার টোল আরেকবার স্পটে প্রবেশের টিকিট এবং আরেকবার গাড়ি ভিতরে নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ১০০ টাকা আদায়। এমনভাবে পর্যটকদের হয়রানি করলে কীভাবে বান্দরবানে পর্যটকরা বেড়াতে আসবে।

এই বিভাগের আরও খবর