,

পানিবন্দি কাশিয়ানীর নিম্নাঞ্চলের ৬ হাজার পরিবার

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: মধুমতি নদী ও বিলরুট ক্যানেলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের প্রায় ৬ হাজার পরিবার।

উপজেলার সিংগা, হাতিয়াড়া, পুইশুর, ওড়াকান্দি, রাজপাট, বেথুড়ী, মাহমুদপুর ও নিজামকান্দি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। পানিতে তলিয়ে গেছে ওইসব এলাকার অধিকাংশ মানুষের ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, রাস্তা-ঘাট, পোল্ট্রি ফার্ম, সবজি ক্ষেত ও ফসলি জমি। ভেসে গেছে মাছের ঘের।

ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত ৪শ’ পরিবার গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী, নিয়ে বেড়িবাঁধ, উঁচু ব্রিজ-কালভার্ট, রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এরমধ্যে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সে সঙ্গে গো-খাদ্যের সংকট দেখা দেয়ায় গবাদীপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

কাশিয়ানী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস, এম শাহজাহান সিরাজ জানান, কাশিয়ানী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় এক হাজার মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে মাছ চাষীদের প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

কাশিয়ানী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মিরান হোসেন মিয়া জানান, উপজেলার নি¤œাঞ্চলের ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ৪শ’ পরিবার বিভিন্ন স্থানে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। এ পর্যন্ত দেড় হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। সরকারি খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘আমি বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সরকারি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর