,

দৃষ্টিনন্দন ‘ডরমিটরি লেক’

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: ভ্রমণ পিপাসুদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সব সময়ই প্রথম সারিতে থাকে মৌলভীবাজার জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এবার পর্যটকদের আনন্দদানে যোগ হলো মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন ‘ডরমিটরি লেক’।

এটি লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের তিন নম্বর গেট বাগমারা ক্যাম্প সংলগ্ন লাউয়াছড়া স্টুডেন্ট ডরমিটরির পিছনে অবস্থিত। পাহাড়ের বুকে অবস্থিত এ লেকটি সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। উঁচু-নিচু পাহাড়ের বুকে দেখা মিলে জলে পরিপূর্ণ দৃষ্টিনন্দন এই ডরমিটরি লেকের। পরিবেশ বান্ধব পর্যটনের আদলে লেকটি উন্নয়ন করলে এটি পরিবেশের প্রতি যেমন বিরূপ প্রভাব ফেলবে না তেমনি ভ্রমণপিপাসু প্রকৃতি প্রেমীরাও প্রকৃতি উপলব্ধি করতে পারবেন বলে অভিমত পরিবেশ বিদদের।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট। তবে স্বল্প গভীরতা ও লেকের এক পাশে বাঁধ না থাকার কারণে লেকটি শুকনো মৌসুমে পানিশূন্য হয়ে যায়। শুকনো মৌসুমে বন্যপ্রাণির খাবারের পানির তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় ২০১৬ সালে বন বিভাগের আর্থিক সহযোগিতায় লেকটি খনন করা হয় এবং এক পাশে মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে লেকটি পরিপূর্ণ থাকে যা শুকনো মৌসুমেও বন্যপ্রাণির জন্য একমাত্র জলের উৎস হিসেবে কাজ করে। এই ডরমিটরি লেকটির আয়তন প্রায় ছয় একর।

লাউয়াছড়া স্টুডেন্ট ডরমিটরি লেকটির সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি পাখির অভয়ারণ্য তৈরি করার জন্য বিজিবি ২০১৭ সালে প্রায় ২৫ হাজার ফলজ, বনজ ও ওষুধি বৃক্ষের চারা রোপণ করে। জলে পরিপূর্ণ লেকটির উপর দিয়ে এক টিলা থেকে অন্য টিলায় যাওয়ার জন্য তৈরি করা হয় দৃষ্টিনন্দন বাঁশের সাঁকো।

মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এর বিভাগীয় বন সংরক্ষক শামসুল মোহিত চৌধুরী বলেন, ডরমিটরি লেকটির উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর চারপাশ দিয়ে হাঁটার জন্য একটি ট্রেইল পথ তৈরি করা হবে। সেই সঙ্গে লেকের উপর একটি ঝুলন্ত ব্রিজ ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণেরও পরিকল্পনা চলমান।

এই বিভাগের আরও খবর