,

দুদকের জালে ৮০ প্রভাবশালী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৮০ প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে দুদক, অনুসন্ধান শুরু।

রেল, বিদ্যুৎ, সিভিল এভিয়েশন, ব্যাংক, পাঁচ তারকা হোটেল এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাবেক-বর্তমান অন্তত ৮০জন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। যাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদসহ বিভিন্ন দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েছে সংস্থাটি।

রেলওয়ের সবচেয়ে বড় কর্তা শামসুজ্জামান। ইন্দোনেশিয়া থেকে দুশো কোচ কেনাকেটায় লোকাল এজেন্টের কাছ থেকে নেন বিপুল পরিমাণ ঘুষ। পরে তা পাচার করেন লন্ডনে। রেলওয়ের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে গুরুতর এই অভিযোগ আসে দুদকে। যাচাই শেষে অনুসন্ধানে নামে সংস্থাটির মানি লন্ডারিং ইউনিট। এরইমধ্যে তার সম্পর্কে বেশকিছু গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে দুদক।

সদ্য অবসরে যাওয়া রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিয়া জাহানের বিরুদ্ধেও ক্যাটারিং বানিজ্যের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। এছাড়া রেলের সাবেক-বর্তমান বিশ ঊর্ধতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।

শুধু রেলওয়ে নয়, বিভিন্ন সেবা সংস্থা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের অন্তত ৮০জনের বিরুদ্ধে গোপনে অনুসন্ধান করছে দুদক।

নথিপত্র বলছে, দুদকের অনুসন্ধানের জালে রয়েছেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড-এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা, ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য ফাতেমাতুজ জোহরা, রপ্তানী প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল বেপজা’র সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিবুর রহমান খান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান জয়নুল হক শিকদার, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহম্মদ শামস-উল ইসলাম, সিভিল এভিয়েশন অথিরিটির সাবেক চেয়ারম্যান নাঈম হাসান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব আ শ ম ইমদাদুদ দস্তগীর, পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, ঢাকা রিজেন্সি হোটেলের চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক আরিফ মোতাহার, হোটেল লা মেরিডিয়ানের মালিক আমিন আহমেদ ভুইয়াসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং উচ্চ পর্যায়ের অন্তত ৮০জন।

ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থপাচারসহ প্রভাবশালী এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, এটা সত্য যে আমরা ৭০ থেকে ৮০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান করছি। যেই অপরাধ করুক না কেন আমাদের অনুসন্ধানে যদি কোনভাবে প্রমাণিত হয় তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো এবং প্রয়োজনীয় যত ব্যবস্থা আছে তা নেব।

এদিকে অনুসন্ধানের জালে থাকা যেসব প্রভাবশালী ব্যক্তির ফাইল এতোদিন নিষ্ক্রিয় ছিলো, তাও সচলের উদ্যোগ নিয়েছে দুদক।

এই বিভাগের আরও খবর