,

গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, শাশুড়ি কারাগারে

জেলা প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে রিয়া মণি (২৩) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় শাশুড়ি হোসনে আরা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে হোসনে আরা বেগমকে মুন্সিগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে আমলি আদালত ৪-এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তি চন্দ্র দেবনাথ তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিহত গৃহবধূ আবদুল্লাহপুর গ্রামের সৌদিপ্রবাসী সবুজের স্ত্রী।

এর আগে নিহত গৃহবধূ রিয়া আক্তারের উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে বুধবার (৩১ মার্চ) রাতে রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পরে রাত ১০টার দিকে টঙ্গিবাড়ী থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের আতাউর পাইকের মেয়ে রিয়া মণির সঙ্গে একই উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের সবুজের বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলেসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সৌদি আরবে থাকতেন সবুজ। সবুজের মা হোসনে আরা প্রায় রিয়ার সঙ্গে ঝগড়াবিবাদ করতেন।

এ বিষয়ে নিহত ব্যক্তির বাবা আতাউর পাইক অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে তার শাশুড়ি প্রায়ই নির্যাতন করতেন। জামাই সৌদি আরব আছে। বাড়িতে আমার মেয়েকে একা পেয়ে শাশুড়ি হোসনে আর বেগম, দুই ননদ সাথী ও বিথী এবং ননদের জামইরা মিলে আমার মেয়েকে খুন করেছে। খুন করার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমাদের ফোন দিয়ে বলেছেন, রিয়া ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমরা এসে দেখি তাকে খাটের ওপর শুইয়ে রাখছে। ওরা আমার মেয়েকে খুন করে খাটে গলায় ওড়না পেঁচাইয়া শুইয়ে রেখে এখন বলছে আত্মহত্যা করছে।

এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন আর রশিদ জানান, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা অভিযোগ করেছেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করে মুন্সিগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর