,

ক্যারিয়ারের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ জানালেন তামিম

বিডিনিউজ ১০ ডটকম, খেলা ডেস্ক:  প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে দেশ ‘লকডউন।’ মাঠে নেই ক্রিকেট, ক্রিকেটাররা ঘর বন্দী। এমন সময় সতীর্থদের সাথে ফেসবুক লাইভ দারুণ সাড়া জাগিয়েছেন তামিম ইকবাল। সাবলীল উপস্থাপনা, হাস্যরস, বিষয়বস্তু নির্ধারণ আর রসিকতার মিশেলে চমৎকার উপস্থাপক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তামিম।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় দেশের দুই দ্রুত গতির বোলার রুবেল হোসেন এবং তাসকিন আহমেদকে নিয়ে লাইভে আসেন তামিম ইকবাল। সেখানে রুবেল ও তাসকিনের খেলোয়াড়ি জীবন আর মাঠের বাইরের নানা গল্প কাহিনী উঠে আসে। লাইভের ৫১ মিনিটে হঠাৎ তামিমের ক্যারিয়ারে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ জানতে চান রুবেল হোসেন।

এসময় তামিম বলেন, ‘আমার জীবনের যা হওয়ার সেটা প্রথম ম্যাচের দিকেই হয়েছিলো। সেটা ছিলো ভারতের সাথে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপটা। তারপর থেকে আমি নামে মাত্র দলে ছিলাম। একটু গ্যাপ ছিলো। খুব একটা ভালো খেলিনি। কিন্তু আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট শুরু হয় চোক জেমি সিডন্সের সময়ে। যখন আমি ওনার সাথে কাজ করা শুরু করলাম তখন আমি আমার ব্যাটিংয়ে লিমিটেশন বাড়াতে পারলাম। আমি আমার দুর্বল জায়গাগুলোতে কাজ করলাম। সেটাই ছিলো মূলত আমার টার্নিং পয়েন্ট শুরু।’

প্রসঙ্গত, ২০০৭-এর অক্টোবরে বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব নিয়ে ছিলেন ২০১১-এর এপ্রিল পর্যন্ত। সিডন্সের চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে আলো ঝলমলে বছরটাও এসেছে আইসিএলের ঘটনার পরই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৯ সালে মোট ১৯টি ওয়ানডে খেলে ১৪টিতেই জয়। টেস্টেও একই চিত্র। তিন ম্যাচে জয় দুটিতেই। ২০১০ সালে ব্রিস্টলে ও ২০১১ এর বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডকে দুবার হারানোর সাফল্যও যোগ করতে হবে সিডন্সের অর্জনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় তো আছেই। সিডন্স থাকতে চেয়েছিলেন এরপরও। কিন্তু তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে রাজি হয়নি বিসিবি।

এই বিভাগের আরও খবর