,

কোম্পানীগঞ্জে সহিংসতা: মৃত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে চলমান বিরোধ, সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলার প্রতিযোগিতা চলছে।

এ প্রতিযোগিতায় এবার আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত অটোরিকশা চালক ও শ্রমিক লীগ কর্মী আলা উদ্দিনকে (৩০)।

তাও আলা উদ্দিনের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর। মামলায় তার ছোট ভাই এমদাদ হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী শালা উদ্দিন পিটন বাদী হয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

বিকেলে আদালতের বিচার এস এম মোসলে উদ্দিন মিজান মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে ১০৫জন সন্ত্রাসী মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা কামাল পাটোয়ারীসহ বেশ কয়েকজনকে গুলি করে জখম করে। এসময় মামলার ৩১-৫৫ আসামীগণ (৩২নং এমদাদ হোসেন ও ৩৬নং আলা উদ্দিন) গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ করে ভীতি সৃষ্টি করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ ঘটনায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি মির্জার অনুসারী শালা উদ্দিন পিটন কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। তাই সোমবার পিটন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত নামা আরও ১০০-১৫০জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরর ভাগিনা মাহবুব রশিদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরী ও নিহত আলা উদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৯মার্চ মঙ্গলবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আলা উদ্দিন নিহত হয়। এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়। পরদিন শনিবার রাত ১০টা ৪৫মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।

এই বিভাগের আরও খবর