,

অনুষ্ঠানে খাবার না পেয়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি

খাবার না পেয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন আমন্ত্রিত লোকজন

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে খাবার না পেয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন আমন্ত্রিত লোকজন।

শনিবার দুপুরে আলোচনা সভা শেষে সভাস্থলে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, খাবার নিয়ে টানাহেঁচড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

শতবর্ষ পূর্তি উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আবদুল মান্নান চৌধুরী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর খাবার বিতরণ শুরু হয়। স্বেচ্ছাসেবকরা সভাস্থলের সামনের সারির অতিথিদের থেকে খাবার বিতরণ শুরু করে মাঝামাঝি অংশে আসলে বহিরাগতরা খাবার নিয়ে টানাটানি শুরু করেন।

এ সময় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে খাবার বিতরণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সবাইকে চেয়ারে বসার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তা না করে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও খাবার নিয়ে টানাটানি শুরু করেন তারা। এ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে তাদের কয়েক দফা হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে কিছু সময়ের জন্য খাবার বিতরণ বন্ধ রাখা হয়।

এদিকে, বিকেল ৩টার দিকে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বর্তমান ছাত্ররা খাবার না পেয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান করেন। পরে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় খাবার এনে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করেন।

বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র জাকির হোসেন সরকার বলেন, দুপুরে খাবার না পেয়ে বহিরাগত ও বিদ্যালয়ের শতবর্ষের গেঞ্জি ও ব্যাচ পরিহিত শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এ সময় তারা চেয়ার ছুড়ে মারেন। ধাক্কাধাক্কি ও টানাহেঁচড়ায় অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সাদেকুর রহমান পাঠান বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মো. লুৎফুর রেজা খোকনসহ আমাদেরকে দাওয়াত দিয়ে এনে কোনো খোঁজ-খবর নেননি আয়োজকরা। এমনকি খাবারও দেননি। পরে বিশৃঙ্খলা দেখে আমরা ওখান থেকে চলে আসি।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। যারা খাবার পাননি তাদেরকে পরে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আমরা খাবার দিয়েছি।

উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, যথেষ্ট খাবার ছিল। কিন্তু খাবার বিতরণ শুরু হলে একটি সুন্দর ও সফল অনুষ্ঠানে পরিকল্পিতভাবে কিছু চেনা লোক অরাজকতা সৃষ্টি করে। তাই একটু বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। পরে সব ঠিক হয়ে গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর